চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম এর জি.আই স্বীকৃতির দাবী জানিয়েছেন জেলার আম চাষীরা। ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ক্ষিরশাপাত, ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমকে জিআই পণ্য স্বীকৃতির দাবীতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জেলার আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র আবেদন করেন। ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারী ভৌগলিক নিদর্শক হিসেবে মনোনয়ন পাই ক্ষিরশাপাত আম। কিন্তু এখনও ল্যাংড়া ও ক্ষিরশাপাত আম জিআই পণ্য হিসেবে স্মীকৃতি পাইনি। জেলাবাীর দাবি-ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমকে ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) মনোনয়ন দিলে অর্থনীতিতে জোরাল ভুমিকা রাখবে। গত মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খানকে জমা দেয়া স্মারকলিপিতে আম সংশ্লিষ্ট অনান্য দাবির পাশাপাশি ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমকে জি.আই স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়। কৃষি গবেষণার তথ্য মতে, ল্যাংড়া আমের বোটা চিকন। আঁটি পাতলা। এ আমের মিষ্টতার পরিমাণ গড়ে ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ। আমটির ভক্ষণযোগ্য অংশ ৭৩ দশমিক ১ শতাংশ। অন্যদিকে, আশ্বিনা আমের গাছে মুকুল আসার প্রায় ৩ থেকে ৪ মাস পর পাকে। আমটির বোটা শক্ত আর নিচের অংশ চোঁচালো। মিষ্টতার পরিমাণ প্রায় গড়ে ২০ শতাংশ। আশ্বিনা আমের ভক্ষণযোগ্য অংশ প্রায় ৭৭ শতাংশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক শহীদুল হুদা অলক বলেন, আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আম দিয়েই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে দেশের ও বাইরের মানুষ চিনে। আশ্বিনা ও ল্যাংড়া আমকে জি.আই স্বীকৃতি দিলে বাণিজ্যিক ভাবে অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, এবার মৌসুমে ৯ হাজার ১৯৮ হেক্টর জমিতে প্রায় ৭ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৫টি গাছে আশ্বিনা আম চাষাবাদ হচ্ছে। আর ৩ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ টি গাছে ল্যাংড়া আম উৎপাদন হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান বলেন, ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম জি.আই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলে জেলার নাম উজ্জল হবে। এ বিষয়ে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।