1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সেই মাথাল! - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গণঅভ্যুত্থানে পলাতক বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিনের অরাজকতা আর নয় নতুন ইটভাটা ॥ বন্ধ হচ্ছে দেশের ৩৪৯১টি ইট ভাটা-পরিবেশ উপদেষ্টা নিউইয়র্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস হবিগঞ্জে মানহানি মামলায় খালাস তারেক রহমান সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার-কারাগারে প্রেরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পুরস্কার বিতরণ পঞ্চগড় সীমান্তে বিজিবির স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প ও মতবিনিময় সভা পোরশা ঘাটনগরে মাদক নির্মূলে সমাবেশ গোদাগাড়ীতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হলেন সিপিডির ফাহমিদা খাতুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সেই মাথাল!

শফিকুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৮৬ বার পঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সেই মাথাল!

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনপ্রিয় গম্ভীরা গানে নানা-নাতি অভিনয়ে ও মানুষের মনোরঞ্জনে এবং দৃষ্টি আকর্ষনে গ্রামীণ চিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য ব্যবহার করেন মাথাল।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে ভিত নাড়িয়ে দেয়া গম্ভীরা গানের জনক সুফি মাস্টারের এবং আধুনিকীকরণে রকিবুল আলম ও কুতুবুল আলম এর বঙ্গবন্ধুর নজরকাড়া সেই গম্ভীরা গানের মাথালের কথায় বলছি!
এদিকে খেত-খামারে কাজের সময় রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে আমাদের দেশের কৃষক ব্যবহার করেন মাথাল। এটি ব্যবহারের সুবিধা হচ্ছে, হাত দিয়ে একে ধরে থাকার প্রয়োজন হয় না। কাজের সময় মাথায় আপনাআপনি রেখে দেয়া যায়। মাথালকে কেউ বাঁশের টুপি আবার কেউবা বাঁশের ছাতাও বলেন। এ মাথাল তৈরি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনেক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছেন। এসব পরিবারের পুরুষরা বাঁশ সংগ্রহ করে চেরাই কাজে সহায়তা করছেন। আর নারীরা গৃহের কাজের ফাঁকে ফাঁকে তা দিয়ে তৈরি করছেন মাথাল। আর্থিকভাবে হচ্ছেন লাভবান। পরিবারেও ফিরে আসছে সচ্ছলতা। বাঁশ চিরে চমৎকার বুননে তৈরি করা হয় মাথাল। বৃষ্টির পানি রুখতে এর মধ্যে তার বা গুনায় জড়িয়ে দেয়া হয় চিপসের পরিত্যক্ত ফয়েল। তারা পাইকারের কাছে একটি মাথাল বিক্রি করছেন ৮০/৮৫ টাকায়। আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতিটি মাথাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় এখনও স্বল্প পরিসরে মাথাল নির্মাণ হচ্ছে। অর্থাভাবে ও কালের বিবর্তনে এ কুটির শিল্পটি প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে তা বলা মুশকিল। তবে কালের বিবর্তনে অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়েছে। মাথাল তৈরীর কারিগররা জানান, পাইকাররা বাড়ি এসে তাদের তৈরি মাথাল কিনে নিয়ে যান এবং গোমস্তাপুর উপজেলা সদর রহনপুর, নাচোল উপজেলা সোনাইচন্ডী, মল্লিকপুর, শিবগঞ্জ উপজেলা আড়গাড়াসহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করেন। বাংলার কৃষি, কৃষক আর মাথাল যেন একসূত্রে বাঁধা। সনাতন প্রথার কৃষিকাজে কৃষকের এক অপরিহার্য কৃষি উপকরণ হলো মাথাল। রোদ-বৃষ্টিতে কৃষকদের সারাদিন মাঠে কাজ করতে হয়। মাঠে সাধারণত কোনো আশ্রয় বা ছায়া দেয়া গাছ থাকে না। কৃষকদের কাজ করতে হয় দু’হাতে। তাই ছাতা হাতে ধরে ক্ষেতে কাজ করা সম্ভব নয়। সে জন্য প্রাচীনকাল থেকেই কৃষকরা নিজস্ব কৃৎকৌশলে ছাতার মতো একটি উপকরণ তৈরি করে নিয়েছে, যার নাম মাথাল বা মাতলা। মাথাকে রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচানোর জন্য এটি ব্যবহার হয় বলে এর নাম মাথাল। প্রাচীনকালে ছাতার ব্যবহার ছিল না। তাই তখন বর্ষাবাদলের দিনে গ্রামীণ লোকেরা মাথাল ব্যবহার করত। এদিকে, অনেক পরিবারের নারীরা গৃহের কাজের পাশাপাশি সেই মাথাল তৈরি করে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, প্রসঙ্গতঃ এটিই হলো গ্রাম-বাংলা প্রকৃত চিত্র। সেই মাথাল কৃষক বা কৃষাণীদের কাজে যাওয়ার অভূতপূর্ব দৃশ্য! তবে, সেটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এই দৃশ্য বলে অভিমত সচেতন মহলের।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!