হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা হবে জেলার ১৪৫টি পূজামণ্ডপে। দূর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইতোমধ্যে বিশেষ সভা হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, এবার জেলার ৫ উপজেলায় ১৪৫টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬০টি, শিবগঞ্জে ৪১টি, গোমস্তাপুরে ২৯টি, নাচোলে ১২টি এবং ভোলাহাট উপজেলায় ৩টি পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ চলমান রয়েছে। আগামী সপ্তাহে শুরু হবে রং এর কাজ। শারদীয় দুর্গোৎসব কে ঘিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। সভায় আরও জানানো হয়, জেলায় সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটি মণ্ডপে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে আনসার সদস্য ছাড়াও তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। মণ্ডপগুলোর নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল এবং প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশনা দেয়া হয় পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দকে।
রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট দেবেন্দ্র নাথ উরাঁওয়ের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব বিপিএম-পিপিএম বার, সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আনিছুর রহমান খাঁন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট রুবায়েত বিন সালামসহ অন্যরা। শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলাবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন।