ভোলাহাটে সাংবাদিক মোঃ গোলাম কবিরের বিরুদ্ধে ভোলাহাট প্রেসক্লাবের ভাড়া আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোলাহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মরহুম সালাউদ্দিন এর সহধর্মিণী মোসাঃ নিলুফা বেগম এবং ভোলাহাট প্রেসক্লাবের দপ্তরী মোঃ শামসুদ্দিন গরিবুলের যৌথ স্বাক্ষরে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভোলাহাট প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা উম্মে তাবাসসুম বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভোলাহাট প্রেসক্লাবের তথ্যসূত্র (ক) ০৮/০৪/২০০৪ ইং তারিখে সম্পাদিত পঞ্চাশ টাকার স্ট্যাম্প মোতাবেক যার নং-ড-৩২৫৪৮২৭, (খ) ২৫/০২/২০০৯ইং তারিখে সম্পাদিত ১০ টাকার স্ট্যাম্প মোতাবেক যার নং-ঠ/১০৪৫৮৯১০৫ অনুযায়ী গ্রহীতাগণের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে এবং সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল (ভোলাহাট-গোমস্তাপুর-নাচোল), চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর তৎকালীন সভাপতি আসাদুল্লাহ আহমদসহ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে চার ভাগে অর্থাৎ ২৫ শতাংশ করে ভাড়া বণ্টনের ৭৫ টাকা করে মোট ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প মাধ্যমে লিখিত চুক্তিনামা হয়। এরপর তিন-চার মাসের টাকা পাওয়া গেলেও আজ পর্যন্ত আর কোনো টাকা আমরা কেউ পায়নি বলে অভিযোগে করেন। তৎকালীন ভাড়াটিয়া আসাদুল ভ্যারাইটিজের স্বত্বাধিকারী আসাদুল ইসলামের কাছে বার বার ঘুরেও টাকা পায়নি। আসাদুলের কাছে গেলে গোলাম কবির সাংবাদিক অগ্রিম টাকা নিয়ে চলে গেছে বলে সাফ জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে গোলাম কবিরকে বললে বিভিন্ন টালবাহানা করে সময় গড়ায়। তাই বাধ্য হয়ে আমরা টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়টি সরজমিন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে দীর্ঘদিনের ভাড়ার হিস্যা বুঝিয়ে পেতে কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগে পেয়েছি। পরে একসময় উভয় পক্ষকে ডেকে শুনানি করে সমাধান করার চেস্টা করা হবে। অভিযোগের বিষয়ে ভোলাহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মোঃ গোলাম কবিরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল (ভোলাহাট-গোমস্তাপুর-নাচোল) তৎকালীন এবং বর্তমান কমিটির সভাপতি আসাদুল্লাহ আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে ২৫ শতাংশ হারে চারজনের মধ্যে একটা চুক্তিনামা করে দিয়েছিলাম ২০১৪ সালে কিন্তু এতদিনেও যে চুক্তিনামা অনুযায়ী তা বণ্টন হয়নি তা অত্যন্ত দুঃখজনক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরও বলেন অনতিবিলম্বে যেন তা কার্যকর হয় সে ব্যাপারে সকলকে আন্তরিক হতে আহবান জানান। এবিষয়ে ভোলাহাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নামমাত্র সাধারণ সম্পাদক। আমি এবিষয়ে কিছু জানিনা। আমি কোনদিন ভাড়া চোখে দেখিনি। এমনকি ভোলাহাট প্রেসক্লাবের আয়-ব্যয় সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। ভোলাহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম কবির সবকিছু জানেন। এবিষয়ে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা মোহাঃ তাজামুল হক আরাফাতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ২০১৪ সালে আমরা বসে একটা লিখিত সমাধান করেছিলাম এবং কায়সার আহমেদ কে দায়িত্ব পালন করার জন্য সিদ্ধান্ত দিয়ছিলাম কিন্তু পরে কেউ হিসাব দেয়নি আর আমি তাদের বলেও কিছুই কাজ হয়নি। এছাড়াও ভোলাহাট প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ড, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম-দুর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে ভোলাহাট প্রেসক্লাবের কথিত সভাপতি সাংবাদিক মোঃ গোলাম কবিরের বিরুদ্ধে। তার আচরণে ভোলাহাট প্রেসক্লাবের সদস্যরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।