চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচটি উপজেলা ৪টি পৌরসভার হাট-বাজারগুলোতে মৌসুমী ফল তরমুজের রমরমা ব্যবসা শুরু হয়েছে। আসতে শুরু করেছে প্রায় ২/৩ সপ্তাহ আগেই। তবে পাইকারি বাজারে দাম এর প্রভাব পড়লেও খুচরা বাজারে তরমুজের দামের কোনো প্রভাব পড়েনি বেশি দাম দিয়ে ভোক্তা ক্রেতারা তরমুজ কিনতে বাধ্য হচ্ছে। বাজারে মাঝারি সাইজের তরমুজ দেড়শ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে এ অঞ্চলে অনেক চাষাবাদ হলেও এখন চাষাবাদ হয় না। বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। এইজন্য বেশি দামে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। এদিকে বিভিন্ন জেলা থেকে তরমুজ আমদানি করতে পরিবহন খরচ অনেক বেশি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর, গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট, শিবগঞ্জ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে যেসকল তরমুজ বিক্রি হয় তার বেশির ভাগ বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলার চরফ্যাশনসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমদানি করে আনতে হয়। তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানান, এবার তরমুজের দাম খুব একটা কমবে না। তরমুজ সাধারণত আট দশ হাজার টাকার শ কিনতে হচ্ছে। আর ভালো তরমুজ ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা শত কিনতে হয়। এছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন অজুহাতে বরিশাল থেকে ট্রাক ভাড়া ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এবছর ভাড়ার পরিমাণ বহুগুণে বেড়ে গেছে। তাছাড়া আনতে কিছু তরমুজ নষ্ট হয়ে যায়। খরচ বাদে কিছু টাকা লাভে বিক্রি করতে হয়। খরচ বেশি হওয়ায় কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আব্দুল্লাহ ও আমজাদ হোসেন জানান, মৌসুমি ফল বলে দাম বেশী হলেও বাড়ির সদস্যদের খাওয়ার জন্য একটু কিনতেই হচ্ছে।