1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফলতি- গোমস্তাপুরে ঋন পরিশোধ করেও জেলে উদ্যোক্তা কৃষক - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের বৃক্ষরোপন ও চারা বিতরন কর্মসূচী প্রথমবারের মত ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ ভারতে ইলিশ উপহার হিসেবে যাচ্ছে না ॥ হচ্ছে রপ্তানী-পরিবেশ উপদেষ্টা নরসিংদীতে ডোবা থেকে ৫৮২ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী শিবগঞ্জে যুব ও স্বেচ্ছাসেবকদলের ২ নেতা জখমের ঘটনায় গ্রেপ্তার-১ শিবগঞ্জে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন পোরশায় গাঙ্গুরিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ সিরাজগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১০ ১৩ বছর পর চাকরি ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আত্রাইয়ে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়

ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফলতি- গোমস্তাপুরে ঋন পরিশোধ করেও জেলে উদ্যোক্তা কৃষক

গোমস্তাপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৮৪ বার পঠিত

ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফলতি

গোমস্তাপুরে ঋন পরিশোধ করেও জেলে উদ্যোক্তা কৃষক

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়নের বালুগ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন ব্যাংক ঋণের পুরো টাকা পরিশোধ করেও গত ২দিন জেলহাজতে রয়েছেন। তার বন্ধকি দায়মুক্তি দলিল সম্পাদনও করে দিয়েছে ব্যাংক। তারপরও ব্যাংকের মামলায় এখন তিনি জেলহাজতে রয়েছেন। যদিও ব্যাংক ম্যানেজার বলেছিলেন টাকা পরিশোধ করলেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা করেনি। গোমস্তাপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, কৃষক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি থাকায় তাকে বৃহস্পতিবার নাচোল থেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। জানা গেছে, আফজাল হোসেন ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের রহনপুর শাখা থেকে তার এবি কৃষি খামারের ওপর ২০ লাখ টাকা ঋণ নেন। ওই টাকায় তিনি জমিতে আম, পেয়ারা ও পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঋণের কিস্তি সঠিকভাবে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান। তারপরও তার নামে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চারটি মামলা করা হয়। তখন ব্যাংকের মোট দাবি ছিল ২২ লাখ টাকা। এদিকে, মামলার পর আফজাল ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় ব্যবস্থাপক আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, ঋণ পরিশোধ করলে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। ওই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রি করে ও বিভিন্নভাবে টাকা সংগ্রহ করে ব্যাংকের সব পাওনা পরিশোধ করেন। সুদ ও মামলার খরচসহ তার কাছ থেকে ২৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা আদায় করা হয়। যদিও ব্যাংক ২২ লাখ টাকার দাবিতে মামলা করেছিল। ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ওই টাকা আদালতের মাধ্যমে না নিয়ে সরাসরি ব্যাংকে জমা নেন। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ রহনপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে তাকে বন্ধকি দায়মুক্তি দলিল নিবন্ধন করে দেয়। কিন্তু এখনো মামলা প্রত্যাহার করেনি। বিষয়টি গত নভেম্বর মাসে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের উদ্যোগ নেন। তবে তিনি সফল হতে পারেননি। কৃষক আফজাল হোসেনের গ্রেফতারের বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আগেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে বলার পরও সমাধান হয়নি। তিনি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শুক্রবারও ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বলেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!