1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফসলী জমিতে অকেজো ব্যাটারি থেকে সীসা তৈরী কারখানা - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গণঅভ্যুত্থানে পলাতক বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিনের অরাজকতা আর নয় নতুন ইটভাটা ॥ বন্ধ হচ্ছে দেশের ৩৪৯১টি ইট ভাটা-পরিবেশ উপদেষ্টা নিউইয়র্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস হবিগঞ্জে মানহানি মামলায় খালাস তারেক রহমান সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার-কারাগারে প্রেরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পুরস্কার বিতরণ পঞ্চগড় সীমান্তে বিজিবির স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প ও মতবিনিময় সভা পোরশা ঘাটনগরে মাদক নির্মূলে সমাবেশ গোদাগাড়ীতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হলেন সিপিডির ফাহমিদা খাতুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফসলী জমিতে অকেজো ব্যাটারি থেকে সীসা তৈরী কারখানা

মোঃ নাদিম হোসেন-(স্টাফ রিপোর্টার)
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩
  • ৬১৯ বার পঠিত

পরিবেশসহ জমির ক্ষয়ক্ষতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফসলী জমিতে অকেজো ব্যাটারি থেকে সীসা তৈরী কারখানা

নিয়মনীতির কোয়াক্কা না করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বেতবাড়িয়া এলাকায় ফসলী জমিতে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে সীসা তৈরির কারখানা। এত একদিকে যেমন ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের, অপরদিকে ক্ষতি হচ্ছে ফসলী জমির। এতে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ ওই এলাকার কৃষক। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী কৃষকদের।
জেলায় এমন কোন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর।
জানা গেছে, সদর উপজেলার বেতবাড়িয়া এলাকায় অবৈধভাবে ফসলী জমিতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফসলী জমিতেই ভাঙ্গা হচ্ছে পুরাতন ব্যাটারি। সেখান থেকে বের করা হচ্ছে সীসা। প্রায় অর্ধেক দামে কিনে নিয়ে আসা অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানের পুরাতন ব্যাটারি থেকে এ্যাসিড বের করে খুলে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পার্টস। আলাদা করা হচ্ছে প্লাস্টিক ও সীসা। দিনে ব্যাটারি ভাঙ্গার কাজ করা হলেও রাতের অন্ধকারে তৈরি হয় সীসা। রাঁতের আঁধারে পুড়িয়ে তৈরী করা সীসায় থাকা বিভিন্ন পদার্থ বাতাসে মিশে মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধান, আমসহ বিভিন্ন ফসল। প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিতে কাপড় ও ইট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে কারখানার আশপাশ। কোন অনুমোদন ছাড়াই ফসলী জমির মাঠে এমন ক্ষতিকর পদার্থের কারখানা গড়ে তোলায়, তা দ্রুত বন্ধের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।

স্থানীয় ও কৃষকরা জানান, জনবসতিহীন এলাকা হওয়ায় সুযোগ নিয়ে এই কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। রাত গভীর হলেই পোড়ানো হয় হয় সীসা। এসব পোড়া ব্যাটারির নির্গত সীসা ও অন্যান্য পদার্থ পুনরায় ব্যাটারি তৈরির কারখানায় বিক্রি করা হয়। রাতে যখন ব্যাটারি জ্বালানো হয়, তখন আশপাশের ৩ কিলোমিটার জুড়ে বিষাক্ত ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এমনকি ইতোমধ্যে আশেপাশের ফসলী জমিতে এ্যাসিড ছড়িয়ে পড়ছে। কারখানার পাশের জমির মালিক চাঁপাইনবাবগঞ্জের বারঘরিয়া বাজারের ফয়সাল আহমেদ বলেন, এই অবৈধ ও পরিবেশ দূষণকারী কারখানা স্থাপনের ফলে আমার আম পুড়ে গেছে। আশেপাশের সকল জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, ফসল নষ্ট হচ্ছে। বলতে গেলে তারা বলছেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই কারখানা করা হয়েছে। যা ইচ্ছে করতে পারেন।

শিবগঞ্জের নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মর্দনা গ্রামের তরিকুল ইসলাম জানান, রাতের বেলা পুরানো ব্যাটারিতে আগুন দেয়া হয়। সেসময় ব্যাপক গন্ধযুক্ত ধোঁয়ায় বিষাক্ত হয়ে উঠে বাতাস। শুনলাম তারা এক বছরের জন্য চুক্তি করে এই ফসলী জমি নিয়েছে। এসব কাজ করতে থাকলে এই এলাকার সকল ফসলী জমি নষ্ট হয়ে যাবে। দ্রুত এই কারখানা উচ্ছেদ করা প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে কৃষি জমিতে কোন ধরনের কলকারখানা করা যাবে না। অথচ এখানে ব্যাটারির এ্যাসিড বের করা, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খোলা ও ব্যাটারি পোড়ানোর মতো কাজ করা হচ্ছে। নিজের ব্যবসায়ের স্বার্থে কৃষি জমি ও পরিবেশের ক্ষতি হলেও স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই কারখানায় দৈনিক পুরাতন ব্যাটারির ১০০-১৫০টি ব্যাটারির যন্ত্রাংশ খোলা ও আগুনে পোড়ানো হয়। এক শ্রমিক জানান, পুরাতন ব্যাটারিগুলো খুলে যন্ত্রাংশগুলো আলাদা আলাদা করা হয়। রাতে ব্যাটারি পুড়িয়ে তা থেকে বিশেষ পদার্থ তৈরি করা হয়। আশেপাশেই গর্ত করে এ্যাসিডগুলো রাখা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, জেলায় এমন কোন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেয়া হয়নি। তাছাড়া কৃষি জমির ক্ষতি করে এভাবে ব্যাটারির এ্যাসিডের কারখানা করতে দেয়ার প্রশ্নই আসেনা। তা পরিবেশের জন্য যেমন মারাত্বক ক্ষতিকর, তেমনি ফসলের জন্যেও ভয়ংকর ক্ষতির কারন। এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রওশন আলী বলেন, কাছে কোন কৃষক বা স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করেননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, গতবছরেও সদর উপজেলার বাবু ডাইং এলাকায় একই কারখানা স্থাপন করা হয়। পরে কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তা বন্ধ করে প্রশাসন। দ্রুত এই অবৈধ কারখানা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী এলাকাবাসী ও কৃষকদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!