জোরপূর্বক জমি দখল ও গাছ কেটে ফেলার প্রতিবাদে এবং পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। বুধবার সকালে শহরের শান্তিমোড়স্থ একটি অফিসে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটি বেনিপাড়া মহল্লার মৃত সুকুর উদ্দিনের পরিবার। শংকরবাটি মৌজার ১৭৩৭ নম্বর আর.এস খতিয়ানের ২৮৮০ নম্বর দাগের পৌণে ৮ কাঠা জমির মালিক মৃত সুকুর উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় তিনি অভিযোগ করেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া আমাদের জমিগুলো দখল করতে দীর্ঘদিন ধরে নানা রকম হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে নামোশংকরবাটি চৌমহনী এলাকার মৃত আফসার কাজীর ছেলে শহিদুল, মেরাজুল, তরিকুল, শহিদুল ইসলামের ছেলে জলিলসহ তাদের লোকজন। এমনকি গত ৩০ আগষ্ট লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক দখল করে এবং আমগাছ কেটে ফেলে তারা।
পৈতৃক সূত্রে জমির অন্যতম মালিক শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন বলেন, জোরপূর্বক জমি দখলের দিন আমার ভাসুরের স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে জখম করে তারা। এসময় গুরুতর আহত হয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। হামলার পরেও এখনও তারা আমাদেরকে নানা রকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এনিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আমাদের পরিবার। যে কোন সময় যে কোন উপায়ে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে তারা। আমরা নিরাপত্তার দাবি জানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে।
তিনি আরও করেন, আমার শশুরের জমি পৈতৃক সূত্রে স্বামী, ভাসুর ও ননদ মালিক। আমাদের দলিলও রয়েছে। অথচ শহিদুল ও তার লোকজন জোরপূর্বক জমিটি দখল করতে চাই। জোরপূর্বক দখল, গাছ কাটা ও হামলার পর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পরে এডিএম কোর্টে মামলা করলে তহসিলদার আহসান হাবীব সরেজমিনে তদন্ত গিয়ে আমাদের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় আমাদেরকে নানারকম ভয়ভীতি দেখায় তহসিলদার। গতকাল রাতে আমার ভাসুরকে ২ কাঠা জমি দিয়ে বিষয়টির সুরাহা করার প্রস্তাব দেয় শহিদুল ইসলাম। এসময় শহিদুল বলে ‘মামলা করে কি করবি? তোরা গরিব মানুষ এসব করে লাভ হবে না’।
তদন্ত করতে গিয়ে টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের তহসিলদার আহসান হাবীব। তিনি বলেন, এগুলো ভিক্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ। এসবের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। এদিকে, অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ নেয়া হয়না। তাই তাদেরকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তারা আদালতে মামলা করেছে।