চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো ধান ও সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে এবছর। এ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে জেলায় ৩৩ হাজার ৫৬৫ মেট্রিক টন ধান চাল সংগ্রহ করেছে জেলা খাদ্য পরিদপ্তর বলেও জানা গেছে। তবে জেলায় বোরো ধান ও সিদ্ধ চালের লক্ষমাত্রা পুরণ হলেও গম সংগ্রহ অভিযানের লক্ষমাত্রা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছে জেলা খাদ্য দপ্তর।
চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল ধান ও ৭ মে সিন্ধ চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। এ বছর কৃষকের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ধান ও মিলারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের শেষ তারিখ ছিল ৩১ আগষ্ট। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যলায় সুত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে ধান ১ হাজার ৮৩৩ মে. টন ও চাল ২১ হাজার ৩১ মেট্রিক টন। নাচোল উপজেলায় ধান ১ হাজার ৪২৩ ও চাল ৮৯৬ মেট্রিক টন। গোমস্তাপুর উপজেলায় ২ হাজার ২০৫ ও চাল ৪ হাজার ২৭৫ মেট্রিক টন। ভোলাহাট উপজেলায় ধান ৮৩৩ ও চাল ২৭ মেট্রিক টন।এবং শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে ১ হাজার ৪৪ ধান ও ৩৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, সারাদেশের মতোই চাঁপাইনববগঞ্জের ৫টি উপজেলায় ধান চাল সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছিল। অনান্য উপজেলার তুলনায় সব চেয়ে বেশি পরিমাণে ধান সংগ্রহ করা হয়েছে গোমস্তাপুর উপজেলায়। এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে সিদ্ধ চাল সব চেয়ে বেশি পরিমাণে সংগ্রহ করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বোরো ধান ও সিদ্ধ চালের লক্ষমাত্রা পুরণ হলেও গম সংগ্রহ অভিযানের লক্ষমাত্রা পূরণ হয়নি। জেলায় গম সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ২৩৯ মেট্রিক টন। সরকার খোলা বাজারের চেয়ে গম সংগ্রহ মূল্য, কম নির্ধারণ করায় জেলার গম চাষিরা সরকারের কাছে গম বিক্রি করতে অনিহা প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। অন্যদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এ বছর এক লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৮ বিঘা জমিতে গম চাষাবাদ হয়েছে। আর লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৩ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন। ৩ হাজার ৪৪৬ মেট্রিক টন গম উৎপাদন না হওয়ায় এ বছরের লক্ষমাত্রা পূরণ হয়নি বলে স্বীকার করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।