আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেশের ৩৩৮টি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)দের বদলির জন্য পাঠানো প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার এ অনুমোদন দেয়া হয়। এর আগে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে প্রথম পর্যায়ে ৩৩৮ থানার ওসি বদলির প্রস্তাব পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, সারা দেশের ৩৩৮ থানার ওসি বদলির প্রস্তাব এসেছে মন্ত্রণালয় থেকে। এ বিষয়টি নিয়ে কমিশন বৈঠকে বসবে। বৈঠকেই ওসি বদলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সারা দেশে চার শতাধিক ওসি রয়েছেন। তাদের মধ্যে একই থানায় ছয় মাসের বেশি ওসি রয়েছে এমন কর্মকর্তার সংখ্যা তিন’শরও বেশি। রেঞ্জভিত্তিক তাদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই তালিকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। পুলিশে একসঙ্গে বড় ধরনের রদবদল করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ কারণে ইসির বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী গত ৫ ডিসেম্বর প্রস্তাব পাঠানো সম্ভব হয়নি। যদিও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। ইসি ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তাব পাঠাতে বলেছেন। আমরা ৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একই সঙ্গে এতসংখ্যক ওসি রদবদল করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের চাওয়া অনুযায়ী এবার তা করা হচ্ছে। গত ৩০ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো চিঠিতে ইসি জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)দের পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে, তাদের অন্য জেলায়/অন্যত্র বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো। গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ৩০ নভেম্বর ছিলো মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়। নির্বাচনি প্রচার শুরু হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর। ভোটগ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি/২৪। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরুর আগেই এই বদলির কাজ শেষ করতে চায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর বলে জানিয়েছে পুলিশের উর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা।