মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
র্যাব ৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যদের হাতে অতি মূল্যবান মুদ্রা (চার কোটি টাকা) বিক্রয়ের নামে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষের লক্ষ টাকা আত্মসাতকারী প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার রুহ-ফি-তাহমিন তৌকির এবং কোম্পানী উপ অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌরসভার নুনগোলার জোহাক আলীর ছেলে মূলহোতা মোঃ রবিউল ইসলাম (৪০), একই উপজেলার সাহেবগ্রামের মৃত সাজ্জাদ আলীর ছেলে মোঃ এরফান আলী (৬৫) ও রহনপুর ডাকবাংলাপাড়ার মোঃ জোবদুল হক এর ছেলে মোঃ ওবায়দুল ইসলাম (৪০) এবং নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার দেউলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৪৩)। র্যাবের প্রেসনোটে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানানো হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল ২৮ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার রহনপুর পৌরসভার মুক্তাসা হল রোডের প্রোঃ মোঃ দেলুয়ার হোসেন এর থাই এন্ড এ্যালুমিনিয়াম দোকানের ভিতর অভিযান পরিচালনা করে অতি মূল্যবান মুদ্রা (চার কোটি টাকা) বিক্রয়ের নামে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষের লক্ষ টাকা আত্মসাতকারী প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ এরফান আলী, মোঃ ওবায়দুল ইসলাম ও মোঃ আশরাফুল ইসলাম কে ভূয়া কয়েন-০১টি, কাটার-২টি এবং একটি কাচের গ্লাসসহ গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় জেলার গোমস্তাপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মুদ্রা গুলো অনেক মূল্যবান এবং উ”চ বিকিরণ জাতীয় পদার্থ এর মূল্য বিশ^ বাজারে অনেক বেশি এসব নানান কথা বলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতারণার কৌশল হিসেবে প্রথমে তারা সহজ সরল কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে তাদের সাথে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরী করে তাদের বিশ^াস যোগ্যতা অর্জন করে এবং বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে তাদের সাথে থাকা কয়েনের বিভিন্ন কৌশল দেখাতে থাকে। এক পর্যায়ে সহজ সরল সাধারণ লোকজন তাদের বিশ^াসের ফাঁদে পা দিয়ে তাদের সর্বস্ব অর্থ তাদের কাছে প্রদান করে। এক সময় প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকা হতে উধাও হয়ে যায়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রতারক চক্রের ০৪ সদস্যকে বর্ণিত এলাকা হতে হাতে নাতে গ্রেফতার করে।
